বঙ্গবন্ধু-১ উপগ্রহের উৎক্ষেপণ, কার্যক্ষমতা, আয় ও খরচ
বঙ্গবন্ধু-১ উপগ্রহটির উৎক্ষেপণ ও কার্যক্ষমতা
বঙ্গবন্ধু-১ হল বাংলাদেশের প্রথম যোগাযোগ উপগ্রহ। এটি ২০১৮ সালের ১১ মে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। এটি ১৬ টন ওজনের এবং এর উচ্চতা ৫.৪ মিটার। এটিতে ৪৮টি ট্রানস্পন্ডার রয়েছে, যা টেলিভিশন, রেডিও, ইন্টারনেট এবং অন্যান্য যোগাযোগ সেবা প্রদান করতে পারে।
ট্রান্সপন্ডার সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন।
বঙ্গবন্ধু-১ উপগ্রহটি ১৫ বছর ধরে কাজ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এটি বর্তমানে ভূস্থির কক্ষপথে রয়েছে। ভূস্থির কক্ষপথটি পৃথিবীর চারপাশে প্রায় ৩৬,০০০ কিলোমিটার উচ্চতায় অবস্থিত। এই কক্ষপথটি উপগ্রহগুলিকে পৃথিবীর সমস্ত অঞ্চল থেকে দেখার সুযোগ দেয়। বঙ্গবন্ধু-১ উপগ্রহটিও এই কক্ষপথে রয়েছে এবং এটি বাংলাদেশের সমস্ত অঞ্চল থেকে দেখা যায়।
বঙ্গবন্ধু-১ উপগ্রহটি থেকে বাংলাদেশের আয়
বঙ্গবন্ধু-১ উপগ্রহটি কোনও দেশে ভাড়া দেওয়া হয়নি।
বঙ্গবন্ধু-১ উপগ্রহটি থেকে কিছু আয় হয়। এটি বাংলাদেশের টেলিভিশন, রেডিও, ইন্টারনেট এবং অন্যান্য যোগাযোগ সেবা প্রদানকারীদের কাছে তার ট্রানস্পন্ডারগুলি ভাড়া দেয়। বঙ্গবন্ধু-১ উপগ্রহটি থেকে আয়ের পরিমাণ এখনও খুব কম, তবে এটি ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু-১ উপগ্রহটি তৈরি ও সার্বিক খরচ
বঙ্গবন্ধু-১ উপগ্রহটি তৈরি ও উৎক্ষেপণের মোট খরচ ছিল প্রায় ২,৭৬৫ কোটি টাকা। এটি বাংলাদেশের সরকার এবং ফরাসি মহাকাশ সংস্থা (CNES) যৌথভাবে অর্থায়ন করেছিল।
বঙ্গবন্ধু-১ উপগ্রহটি তৈরিতে প্রায় ১,৮০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল। এই খরচের মধ্যে ছিল উপগ্রহের নকশা, উৎপাদন, পরীক্ষা এবং উৎক্ষেপণ। বঙ্গবন্ধু-১ উপগ্রহটি উৎক্ষেপণে প্রায় ৯৬৫ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল। এই খরচের মধ্যে ছিল রকেট, লঞ্চ প্যাড এবং অন্যান্য সরঞ্জাম।