কর্মধারয় সমাস
বিশেষণ পদের সাথে বিশেষ্য পদের যে সমাস হয় এবং বিশেষ্য পদের অর্থের প্রাধান্য থাকে তাকে কর্মধারয় সমাস বলে।
কর্মধারয় সমাসের উদাহরণ
যেমন- নীল যে পদ্ম = নীলপদ্ম
কর্মধারয় সমাস কত প্রকার ও কি কি
কর্মধারয় সমাসকে (ক) মধ্যপদলোপী, (খ) উপমান, (গ) উপমিত ও (ঘ) রূপক কর্মধারয় সমাস নামে বিভক্ত করা যায়।
মধ্যপদলোপী কর্মধারয়
যে কর্মধারয় সমাসে ব্যাসবাক্যের মধ্যপদের লোপ পায়, তাকে মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস বলে। যেমন- হাসি মাখা-মুখ = হাসিমুখ
উপমান কর্মধারয়
সাধারণত গুণবাচক পদের সাথে উপমানবাচক পদের যে সমাস হয়, তাকে উপমান কর্মধারয় সমাস বলে। উপমান শব্দের অর্থ সাদৃশ্য।
প্রত্যক্ষ কোন বস্তুর সাথে পরোক্ষ কোন বস্তুর তুলনা করলে প্রত্যক্ষবস্তুটিকে বলা হয় উপমেয়।
উপমান কর্মধারয় সমাসের উদাহরণ হলো- শশের ন্যায় ব্যস্ত = শশব্যস্ত
বকের ন্যায় ধার্মিক = বকধার্মিক; উপমান কর্মধারয়। এখানে সাধারণত গুণবাচক পদ হলো ধার্মিক আর উপমানবাচক পদ হলো বক।
উপমিত কর্মধারয়
সাধারণ গুণের উল্লেখ না করে উপমেয় পদের সাথে উপমানের যে সমাস হয় তাকে উপমিত কর্মধারয় সমাস বলে।
যেমন-পল্লবের ন্যায় অধর = অধরপল্লব
চাঁদের মত মুখ = চাঁদমুখ; উপমিত কর্মধারয়।
এখানে সাধারণ গুণের উল্লেখ না করে উপমেয় পদের সাথে উপমানের সমাস হয়েছে।
রূপক কর্মধারয়
যে কর্মধারয় সমাসে উপমান ও উপমিতের মধ্যে অভেদ কল্পনা করা হয় তাকে রূপক কর্মধারয় সমাস বলে।
যেমন- মন রূপ মাঝি = মনমাঝি