কর্ণফুলী টানেল হল বাংলাদেশের চট্টগ্রাম শহরকে দ্বীপকুল ও কক্সবাজারের সাথে যুক্ত করার জন্য নির্মাণাধীন একটি টানেল। এটি বাংলাদেশের প্রথম টানেল এবং দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদীর নিচে নির্মিত টানেল। টানেলটি দুটি টিউব নিয়ে গঠিত, প্রতিটি টিউব চার লেনের সড়ক দ্বারা সমর্থিত। টানেলের দৈর্ঘ্য ৩.৪৩ কিলোমিটার (২.১৩ মাইল) এবং এটি কর্ণফুলী নদীর তলদেশে ৭০ মিটার (২৩০ ফুট) গভীরে অবস্থিত। টানেলটি নির্মাণের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১০,০০০ কোটি টাকা (১.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার)। টানেলটির নির্মাণ ২০১৯ সালে শুরু হয়েছিল এবং ২০২৩ সালে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
কর্ণফুলী টানেল নির্মাণের ফলে চট্টগ্রাম শহরের যানজট কমবে এবং চট্টগ্রাম শহরকে দ্বীপকুল ও কক্সবাজারের সাথে আরও ভালভাবে সংযুক্ত করবে। এটি চট্টগ্রাম শহরের অর্থনীতিকে প্রসারিত করবে এবং পর্যটন শিল্পকে উন্নীত করবে।
কর্ণফুলী টানেল নির্মাণে বাংলাদেশের সরকার চীনের সাহায্য নিচ্ছে। চীনা কোম্পানি চায়না কমিউনিকেশন অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড (সিসিসিসি) টানেলটি নির্মাণ করছে। টানেলটি নির্মাণের জন্য চীন সরকার বাংলাদেশের সরকারকে ১০০ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছে।
কর্ণফুলী টানেল বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। এটি বাংলাদেশের অর্থনীতিকে প্রসারিত করবে এবং পর্যটন শিল্পকে উন্নীত করবে। টানেলটি নির্মাণের ফলে চট্টগ্রাম শহরের যানজট কমবে এবং চট্টগ্রাম শহরকে দ্বীপকুল ও কক্সবাজারের সাথে আরও ভালভাবে সংযুক্ত করবে।