ইন্দো-প্যাসিফিক ভূরাজনীতি হলো ভারত মহাসাগর (ইন্দো) এবং প্রশান্ত মহাসাগরের (প্যাসিফিক ) চারপাশের দেশগুলির মধ্যে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামরিক সম্পর্কের অধ্যয়ন। এই অঞ্চলটি বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং দ্রুত বর্ধনশীল অঞ্চলগুলির মধ্যে একটি। এটি বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক এবং বিশ্বের অর্থনীতির প্রায় এক-তৃতীয়াংশের আবাসস্থল।
আরও স্পষ্টভাবে অঞ্চলটি পূর্ব এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, দক্ষিণ এশিয়া, ওশেনিয়া এবং ভারত মহাসাগর এবং প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপপুঞ্জগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করে। এই অঞ্চলের চারপাশের দেশগুলি হলোঃ
- উত্তর: রাশিয়া, উত্তর কোরিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন
- পূর্ব: জাপান, উত্তর মারিয়ন দ্বীপপুঞ্জ, মার্কিন সামরিক ঘাঁটি গুয়াম, প্রশান্ত মহাসাগরের মার্কিন অঞ্চলগুলি
- দক্ষিণ: অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, পূর্ব তিমুর
- পশ্চিম: ভারত, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ব্রুনেই, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, লাওস, কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড, মায়ানমার
ইন্দো-প্যাসিফিক ভূরাজনীতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির মধ্যে একটি হলো চীন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা। চীন এই অঞ্চলে তার প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা করছে, যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার আধিপত্য বজায় রাখার চেষ্টা করছে। এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা এই অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা এবং উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।
ইন্দো-প্যাসিফিক ভূরাজনীতির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ভারত মহাসাগরের জলপথগুলির নিয়ন্ত্রণ। এই জলপথগুলি বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জলপথগুলির মধ্যে রয়েছে। এগুলি বিশ্বের বাণিজ্যের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ বহন করে। চীন এই জলপথগুলির উপর তার নিয়ন্ত্রণ বাড়ানোর চেষ্টা করছে, যা অন্যান্য দেশগুলির উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
ইন্দো-প্যাসিফিক ভূরাজনীতি একটি জটিল এবং দ্রুত পরিবর্তনশীল বিষয়। এই অঞ্চলের ভবিষ্যত অনিশ্চিত, কিন্তু এটি বিশ্বের ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।